![](https://alokitorangunia.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
![](https://alokitorangunia.com/wp-content/uploads/2021/08/Screenshot_20210827_134356.jpg)
আজ ২৭ আগস্ট, বাঙালির প্রাণের কবি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এদিনে তৎকালীন পিজি হাসপাতালে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) মৃত্যুবরণ করেন চিরতারুণ্যের প্রতীক এই কবি।
কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান, কবি, সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এরপর কবিকে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
কবি ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বিদ্রোহী কবি খ্যাত কাজী নজরুল ছিলেন একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক। নিজের লেখনীর মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িকতার বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন আজীবন আপসহীন কাজী নজরুল ইসলাম।
কবি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে, ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দ) জন্মগ্রহণ করেন স্বাধীনতাকামী এ কবি। ছোটবেলায় তার ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়।
জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, ছয়ানট সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
কবি যেমন দ্রোহের আগুনে জ্বলে পুড়ে লিখেছিলেন ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণতূর্য’, তেমনই রচনা করেছিলেন প্রেমের অনন্য গান ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রানী, দেব খোঁপায় তারার ফুল’।
কাজী নজরুল ইসলামের রচিত ‘চল্ চল্ চল্, ঊর্ধ্বগগনে বাজে মাদল’ বাংলাদেশের রণসংগীত হিসাবে গৃহীত।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৪ সালে তাকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯৭৬ সালে কবিকে ‘একুশে পদক’ দেওয়া হয়।