প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ, সাধনা ও অধ্যবসায়ের সুকঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আজ আপনারা যারা মর্যাদাপূর্ণ ‘ বিসিএস ক্যাডার’ পরিবারে পা রেখেছেন, আপনাদেরকে অভিনন্দন। জীবনের এই পরম মাহেন্দ্রক্ষণে আপনাদের উদ্দেশে অগ্রজ হিসেবে আমার দুটি কথা-
পামাটিতেই রাখুনঃ
শুভেচ্ছা-অভিনন্দনের জোয়ারে ভেসে যাওয়া, আশেপাশের মানুষগুলোর আচরণ হঠাৎ করে বদলে যাওয়া এই মুহুর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন কাজ বটে। যত কঠিন আর কষ্টসাধ্যই হোক, বিনয়ী থাকুন। সকলের মনযোগের কেন্দ্রে অবস্থান করা এ সময়ে আচরনের সামান্য বিচ্যুতি যেমন আপনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত সমালোচনার মুখোমুখি করে দিতে পারে, তেমনি আবার অন্যকে দেখানো যৎকিঞ্চিত সম্মানও আপনি ফেরত পাবেন হাজার গুণে। তাই যারাই ‘শুভকামনা’ জানাতে আমাকে ফোন করবেন, কল রিসিভ করে ১/২ মিনিট হলেও কথা বলুন বা অন্তত থ্যাংকস জানিয়ে হলেও ফিরতি একটি মেসেজ পাঠান। দেখবেন, সামান্য এ প্রাপ্তিতেই আপনাকে নিয়ে তাদের গর্ব বহুগুণে বেড়ে যাবে।
আপনার অনেক সহযোদ্ধা রয়েছেন, যারা হয়তো আপনার সঙ্গে প্রিলি, রিটেন ও ভাইভায় অংশ নেওয়া সত্ত্বেও ভাগ্যের ফেরে আজ ক্যাডার বঞ্চিত। ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষগুলো তাদের অব্যক্ত কষ্টের আগুনের দহন না পারছেন কাউকে বলতে, না পারছেন সইতে। আর অন্যদিকে দু’চার নম্বর এদিক-সেদিক হবার সুবাদে আজ আপনি ক্যাডার। ভাসছেন অভিনন্দনের জোয়ারে। চেষ্টা করুন সহযোদ্ধাদের এ চরম দুর্দিনে তাদের সঙ্গে কথা বলে একটু ঘুরে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা, একটু সান্তনা দেওয়ার। বড়ই হবেন, ছোট হবেন না বিন্দুপরিমাণও। কথায় আছে,ফলবতী বৃক্ষ কিন্তু সবসময় অববনতই থাকে।
ক্ষমতা আছেক্ষমতা নেইঃ
ভাবছেন আপনি ম্যাজিস্ট্রেট/ সহকারী কর/কাস্টমস কমিশনার/ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব/এএসপি ইত্যাদি উচ্চ পদধারী হয়ে অনেক ক্ষমতার মালিক হয়ে গেছেন? ভুল, সবই ভুল। বাস্তবতার জমিনে পা রাখার জন্য প্রস্তুত হোন। আমি নিশ্চিত করে বলছি, অতি শিগগিরই আপনি অনুভব করবেন, একজন রিকশাচালকের (তুচ্ছার্থে নয়) ক্ষমতাও প্রকৃতপক্ষে আপনার চাইতে বেশি। আদতে আপনার কোন ক্ষমতাই নেই, যা আছে তা হল- দায়িত্ব, আর সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য কিছু এখতিয়ার। তাই আগে যদি ‘হেডম’ দেখানোর বাতিক থেকেও থাকে আজ রাত থেকে সেটিকে মাথা থেকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় দিন। আর গাড়ি? সরকারের তরফ থেকে আপনাকে গাড়িও দেওয়া হতে পারে বটে, তবে এই গাড়িতে করে দিনরাত ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্ন যদি দেখে থাকেন, তাহলে অনতিবিলম্বে সেই দিবাস্বপ্নের এখানেই ইতি দিন। আরে ভাই, ঘুরাঘুরি তো ‘দূর কি বাত’, এই সরকারি গাড়ি ২৪টা ঘন্টার জন্য আপনাকে সরকারি কাজে এঙ্গেজড করে ফেলল আরকি!
#মানবিক_হোন
আপনি বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন, এটা আপনার একটা পরিচয় হতে পারে, তবে কখনওই প্রধান পরিচয় নয়। আপনার প্রধান পরিচয়, আপনি মানুষ হিসেবে কেমন, সেটা। আপনার আমার চাইতে অনেক যোগ্য লোক রাস্তায় রাস্তায় ঘুরলেও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমরা একটা অবস্থানে আসতে পেরেছি। তাই বড়াই বা আত্মঅহমিকার বদলে নিজের মানবিক গুণাবলি জাগ্রত করুন। আর যার বা যাদের কাছে আপনার ব্যক্তি পরিচয়ের চেয়ে ক্যাডার পরিচয়টাই মূখ্য , তাদেরকে এড়িয়ে চলতে সচেষ্ট হোন।
নিজের অবস্থানকে সম্মান করুনঃ
নিজের ক্যাডার বা অবস্থানকে ছোট বা তুলনামূলক সুবিধাবঞ্চিত ভেবে হীনমন্যতায় ভুগবেন না বা জনে জনে গিয়ে হতাশা প্রকাশ করবেন না। ‘হায়রে! যদি ওই ক্যাডারটা পাইতাম!!’। ভাল না লাগলে বা চাকুরীটা ছোট মনে হলে জয়েন করবেন না, কিন্তু অন্য অনেকে তো ফার্স্ট চয়েস দিয়েই এই ক্যাডারটাতে এসেছেন, তাদের অনুভূতিকে অসম্মান করা বা তাদেরকে হীনবল করে দেওয়ার কোন অধিকারই আপনার নেই। মনে রাখবেন, সকল ক্যাডারেরই সুবিধা -অসুবিধার দিক আছে। আপনি যে ক্যাডারের কথা ভেবে হতাশ হচ্ছেন, আমি নিশ্চিত ওই ক্যাডারে গেলেও আপনি বর্তমান ক্যাডারের সুবিধার কথা ভেবে হতাশাতেই নিমজ্জিত থাকতেন। তার চেয়ে যেটা পেয়েছেন, সেটাকেই সর্বোচ্চ প্রাপ্তি এবং উপরওয়ালর সর্বোত্তম ফয়সালা ভেবে নিয়ে কাজে আত্মনিয়োগ করুন।
আন্ত ক্যাডার সম্পর্কঃ
এক ক্যাডার অন্য ক্যাডারের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব পরিত্যাগ করুন। সকল ক্যাডারই সরকারের খাতায় সমান মর্যাদার আসনে অধিষ্টিত এবং রাষ্ট্রের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। একটাকে ছাড়া অন্যটা সর্বাংশেই অর্থহীন হয়ে পড়ে। আজ আপনি নিজের ক্যাডারকে উপরে তুলতে অন্য ক্যাডারকে তুচ্ছ প্রমাণ করতে চাইছেন, অথচ মার্কসের সামান্য হেরফেরেও আপনি হয়তো এই ক্যাডারের পরিবর্তে আপনার আজকের নিন্দার্হ সেই অন্য ক্যাডারটিই পেতে পারতেন। তখন আপনি কি করতেন? ওই ক্যাডারের পক্ষ হয়ে বর্তমান ক্যাডারকে নিন্দামন্দ করে বেড়াতেন? ভেবে দেখুন তো কী হাস্যকর ব্যাপার! শুধু ক্যাডার বা ননক্যাডারই নয়, সকল পেশা বা বৃত্তির মানুষকেই মন থেকে সম্মান করুন। মনে রাখবেন, অন্যকে সম্মান করলে তবেই নিজে সম্মান পাওয়া যায়। সম্মান জোর করে আদায় করার মতো কোন বিষয় নয়।
#শিখুননিজেকেতৈরি_করুনঃ
চামচামি স্বভাব নয়, বসের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করুন নিজের সততা- নিষ্ঠা – কর্মদক্ষতা দিয়ে। মনে রাখবেন, চামচামি করে কারো সাময়িক আনুকূল্য পাওয়া গেলেও দীর্ঘমেয়াদে আপনি কখনোই তা ধরে রাখতে পারবেন না। তাই শুরুর দিকের দিনগুলি ব্যয় করুন, ধৈর্য ধারন করে কাজ শেখা, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন ট্রেনিং এ অংশগ্রহণ প্রভৃতি কাজে। সততা ও দক্ষতার প্রমাণ রাখতে পারলে এমনিই আপনি বসসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রিয় হয়ে যাবেন।
প্রয়োজনীয়কাগজের সেট প্রস্তুত করে নিনঃ
ক্যাডারে সুপারিশের পর ভেরিফিকেশন পার হয়ে গেজেট, এরপর জয়েন, চাকুরী স্থায়ীকরণ….। এসব কাজে আপনার প্রোচ্চুউউউর পরিমাণে ফটোকপি মেশিনের হেল্প লাগবে। এত বার প্যাড়া নেওয়ার চাইতে আপনার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রের অন্তত ১০/১৫ সেট ফটোকপি করে সত্যায়িত করিয়ে রাখুন। (ফটোকপি ছাড়াও এক দু সেট রাখুন)।
অত্যাবশ্যক কাগজগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট
২. একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
২. জাতীয় পরিচয়পত্র।
৩. চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট
৪. জন্ম সনদ
৫. নিজের/বাবা/মায়ের নামে থাকা জমির দলিল
৬. বিসিএসের এডমিট কার্ড ও বিপিএসসি ফর্ম-১
৭. বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলের বিজ্ঞপ্তি ( প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠা এবং যে পৃষ্ঠায় আপনার রেজি নম্বর আছে সেই পৃষ্ঠা)।
৮. ভেরিফিকেশনকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চাওয়া অন্য কোন কাগজ।
ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়াঃ
#সতর্কতারবিকল্পনেই
বিগত বিসিএসসমূহের রেকর্ড ঘাটলে দেখা যাবে, পিএসসি কর্তৃক বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীগণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রতিবেদনের কারণে চূড়ান্ত নিয়োগলাভে ব্যর্থ হন। তাই আজ রাত থেকে শুরু করে যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত মহাগুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে ‘সমস্যা তৈরি করতে পারে’ এমন কোন কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকুন। ভেরিফিকেশনের জটিলতা এড়াতে আরো দুয়েকটি বিষয় মনে রাখতে পারেন-
১.যদি আগে থেকে আপনার বিরুদ্ধে আইনগত কোন প্রক্রিয়া চলমান থাকে, দ্রুত সেটি নিষ্পত্তি করে নিন।সমাজে আমাদের পাড়াপ্রতিবেশীদের মধ্যেও এমন অনেককেই খুঁজে পাবেন, যারা সবসময় আমাদের অশুভকামনা করেন (পুলিশি অভিজ্ঞতা থেকে বললাম)। তারা যত অগুরুত্বপূর্ণ -নগন্য ব্যক্তিই হোন, এদের নেতিবাচক ভূমিকার বিষয়ে সতর্ক হোন। কিছু দিনের জন্য নিজের ‘অহম’ বিসর্জন দিয়ে নতি স্বীকার/একপাক্ষিক মিত্রতা করে নিলে আপনার সম্মান ধূলোয় মিশে যাবে না। সারাজীবন তো আপনার জন্য পড়েই আছে। (আমি ভয় দেখাচ্ছি না, বরং সাবধান করছি, মন থেকে চাই, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে যেন আপনাকে পড়তে না হয়)।
২. যদি আপনার নিকট এমন প্রতীয়মান হয় যে, বৈরিভাব লাঘবের সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও আপনার এলাকার শত্রুভাবাপন্ন প্রতিবেশীরা ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আপনার গেজেটের পথ রুদ্ধ করতে চাইতে পারে, তাহলে ভেরিফিকেশনের সময় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সে বিষয়ে অবহিত করে সঠিক তথ্য প্রমাণাদি উপস্থাপন ও আপনার উপযুক্ততা প্রমান করার চেষ্টা করবেন।
৩. আপনি সরকারি চাকুরিরত থাকলে আপনার অফিস প্রধানের সাথে যদি আপনার কোনরকম বিরূপ সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে, তাহলে সেই বিরূপ সম্পর্ককে ( যদি থাকে) অবিলম্বে মধুময় সম্পর্ক দ্বারা প্রতিস্থাপন করে নিন। কিভাবে!! ধরুন, অফিসে যেয়ে স্যারের সাথে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে গল্প জুড়তে পারেন। কদিন পরই তো আসতে চলেছে মধু মাস জ্যৈষ্ঠ, এক খাঁচি হরেক রকম ফলফলাদি কিনে সশরীরে বাসায় গিয়ে দিয়ে আসুন না!! মধুর স্বাদ সম্পর্কেও কিঞ্চিৎ প্রভাব ফেলতে পারে তো। (ঘুষ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি মনে করে আমাকে আবার গাইলাইয়েন না! এইটা কি ঘুষ হইলো!!)
৪. প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি,ভেরিফিকেশনে কেউ যদি কোনকারণে বাদ পড়েও যান, তার মানে এই নয় যে, তিনি চাকুরী থেকে একেবারে স্থায়ীভাবে বাদ পড়ে গেলেন। যদি সত্যি তিনি চাকুরীর জন্য উপযুক্ত হন এবং ভুলক্রমে বাদ পড়ে থাকেন, তাহলে পূণ:ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে শিগগিরই তিনি চাকুরিতে যোগদানের সুযোগ পাবেন। যোগ্যতাবলে অর্জন করে নেওয়া প্রজাতন্ত্রের চাকুরিতে নিয়োজিত হবার সুযোগ থেকে প্রার্থীকে কেউ চিরকাল বঞ্চিত রাখতে পারবে না। আজ হোক, দুইদিন পর হোক, তার প্রাপ্য গেজেট তিনি পাবেনই।
তাই বলব, অযথা দুশ্চিন্তা না করে এই সময়টা উপভোগ করুন। শুধু ভেরিফিকেশনের চক্কর শেষ করে চূড়ান্ত গেজেটে নাম আসার আগ পর্যন্ত সময়ে স্ব স্ব উপজেলার ইউএনও, এনএসআই এর জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তা, সার্কেল এএসপি, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ যথাসম্ভব সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করবেন। কারনটা তো বোঝেনই, কী আর বলব!
#এবংচাকুরীতেযোগদানকরারপর_প্লিজঃ
যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের অগ্রগতির চাকাকে সচল রেখেছেন, অহর্নিশ খেটে আপনার আমার অন্ন-বস্ত্রের সংস্থান করছেন, সেই কৃষক-শ্রমিক- জেলে-কামার- কুমোর- তাতী – মাঝিসহ তথাকথিত নিন্মবর্গীয় মানুষদেরকে তাচ্ছিল্যের চোখে দেখবেন না। নিজের একটু কষ্ট বেশি যদি হয়ও, তবুও তাদের জন্য আন্তরিক সেবা নিশ্চিত করুন। কোনভাবে যেন তাঁরা হয়রানির শিকার না হন, সেটি নিশ্চিত করুন। নারী, বয়স্ক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের প্রতি সংবেদনশীল হোন।
সবশেষে বলব, নিজের স্বাস্থের প্রতি যত্নবান হবেন। সঠিক সময়ে খাওয়া- ঘুম, ভোরে উঠে নিয়মিত শরীর চর্চা, ধূমপান না করার মতো সাধারণ বিষয়গুলো মেন্টেইন করুন। নিজেই যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, রাষ্ট্রের সেবা, জনগনের সেবা কি করে করবেন। আশা করি সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শিগগিরই কাজে যোগদান করা হয়ে যাবে আপনাদের। কোন বিষয়ে করনীয় বুঝতে সমস্যা অনুভব করলে এই অধমকে যে কোন সময় নক দিতে পারেন। ক্ষুদ্রজ্ঞানে আপনাদের সামান্য কাজে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। ইনশাআল্লাহ, দেখা হয়ে যাবে মাঠে-ময়দানে। আপনাদের সবার জন্য নিরন্তর শুভপ্রত্যাশা।
…………………………………………………
আপনাদের সহকর্মী
Md. Anwar Hossan (Shamim Anwar)
বিসিএস (পুলিশ)
সহকারী পুলিশ সুপার, রাঙ্গুনিয়া সার্কেল, চট্টগ্রাম।