মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ফের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) চারদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদক আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস পরীমণির দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানিতে পরীমণির আইনজীবী ছিলেন মজিবুর রহমান।
শুনানি শেষে গণমাধ্যমকে আইনজীবী মজিবুর রহমান জানান, আসামির বিরুদ্ধে মাদক রাখা ছাড়া আর কোনো অভিযোগ নেই।
এই অভিযোগের চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ আমার রিমান্ড নেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তিনি আরও বলেন, পরীমণি এক দিনের চিত্রনায়িকা না। তার দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ার নষ্ট করা হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। গ্রেপ্তারের পর থেকে ১২০ ঘণ্টা তিনি এক কাপড়ে রিমান্ডে রয়েছেন।
এর আগে আদালতের কাঠগড়ায় আনা হলে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় পরীকে। এছাড়াও আদালত থেকে বের হওয়ার সময় তিন বার চিৎকার করেছেন এই চিত্রনায়িকা। চিৎকার করে তিনি বলেন, ‘আমি নির্দোষ, আমাকে ইচ্ছা করে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’
এছড়াও মঙ্গলবার পরীমণিকে দেখতে আদালতে হাজির হয়েছিলেন নানা শামসুল হক গাজী। এসময় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, নিজের জন্য জীবনে পরীমণি কিছু করেনি। মানুষের জন্য দান করছে। এখন পরিস্থিতির শিকার হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, নিজে একটা ফ্ল্যাট করে নাই। এফডিসিতে প্রতি বছর গরিবদের জন্য কোরবানি দেয়। আল্লাহ পাক যদি তাকে মাফ করে।
পরীমণির বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া মদের বোতল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালি বোতল ছিল। মাদকের বোতল কিনা জানি না। পরীমণির মুক্তি কামনা করে শতবর্ষী শামসুল হক বলেন, আল্লাহ যদি পরীকে মুক্তি দেয়।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর সিএমএম আদালতের বিচারক হাকিম মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে পরীমণির চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
এর আগে বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব।
আরটিভি নিউজ