বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিগত রবিবার রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন ও সাধারন সম্পাদক প্রকাশ চাকমা যৌথ স্বাক্ষরের ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি দেয়া হয়।।
ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন ও সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ স্বাক্ষরিত উক্ত কমিটির তালিকা রবিবার বিকেলে গণমাধ্যমের কাছে পৌঁছায়।
কমিটিতে সভাপতি পদে রফিকুল ইসলাম (সুমন) আর সাধারণ সম্পাদক পদে মো নিজাম উদ্দিন ফরহাদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাইথোয়াই অং চৌধুরী ও মনবীর তঞ্চঙ্গ্যাকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
তবে কমিটি প্রকাশের প্রায় দুই ঘন্টা পর ফেইসবুকের মাধ্যমে কোন প্রকার প্রেস রিলিজ ছাড়া সাধারন সম্পাদক প্রকাশ চাকমা একক সিদ্ধান্তে উক্ত কমিটিকে স্থগিত করা হয়েছে মর্মে একটি স্ট্যাটাস দেয়।যেখানে ছাত্রলীগের সভাপতির কোন মতামত স্পষ্টত প্রতীয়মান ছিলো না।উক্ত বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,অনুমোদিত কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের কারো ছাত্রত্ব নেই মর্মে অভিযোগ উঠায় তিনি উক্ত কমিটি নিয়ে মৌখিকভাবে তার নিজস্ব ফেইসবুক আইডিতে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
তবে উক্ত বিষয়ে নব নির্বাচিত কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক জানান,তাদের উভয়েরই ছাত্রত্ব রয়েছে।বর্তমানে তারা দুজনে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রয়েছে বলে জানান তারা।এছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দুজনের একজন চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় অন্যজন কর্ণফুলী ডিগ্রি কলেজে বর্তমানে অধ্যয়নরত রয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন জানান,সম্পুর্ন গঠনতন্ত্র মেনে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সকলের পরামর্শক্রমে আমরা উক্ত কমিটি অনুমোদন দিয়েছি।উক্ত কমিটির নেতৃত্বে কাপ্তাই ছাত্ররাজনীতি পুনরায় গতিশীল হবে বলে তিনি মতামত ব্যাক্ত করেন। বর্তমানে যে সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে সেগুলো খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে।তাই উক্ত কমিটি নিয়ে বিভ্রান্ত হবার কোন সুযোগ নেই।করোনাকালীন সময়ে কিংবা তার আগে ও পড়ে সবসময় রাঙামাটি ছাত্রলীগ যেভাবে সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তা কখোনই তাদের কাছে মুল্যায়ন হয় নি।আগামীতেও ছাত্রলীগ সর্বদা রাঙামাটির সকল মানুষের পাশেই থাকবেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলার অন্যান্য বিভীন্নদল পদস্থ নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায়,রাঙামাটিতে আওয়ামী লীগ তথা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কিছু ব্যাক্তি বিভীন্নভাবে তাদের নিয়ন্ত্রিত কিছু মিডিয়া মাধ্যমকে ব্যবহার করে অযথা মিথ্যা ও বানোয়াট কিছু মনগড় কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছেন।মুলত এই সব ব্যাক্তি বিগতদিনে বিভীন্নভাবে চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করার।যখন তারা সেটা করতে ব্যার্থ হয়েছেন তখন নিজেদের নোংরা স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তারা এসব অপপ্রচার করে যাচ্ছেন।অচিরেই এসব দুষ্কৃতীকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলেও তারা জানিয়েছেন।