দীর্ঘ দিন ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে পরপারে চলে গেলেন চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত একুশে পত্রিকা'র সম্পাদক, সাংবাদিক আজাদ তালুকদার (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (২আগস্ট)ভোররাত সাড়ে তিনটার সময়ে রাজধানীর ঢাকায় অবস্থিত বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।
আজ বুধবার জোহরের নামাজের পর প্রথম জানাযা চট্টগ্রাম নগরের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় জামে মসজিদ, দ্বিতীয় জানাযা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এবং দ্বিতীয় জানাযার শেষে মরদেহ নিজ গ্রামের বাড়ি রাঙ্গুনিয়ার উত্তর পদুয়ায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে আসরের নামাজের পর তৃতীয় জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।
গ্রামে জানাযা নামাজের পূর্বে রাঙ্গুনিয়া প্রেসক্লাবে সভাপতি জিগারুল ইসলাম জিগার এর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মরহুমের স্মৃতি চারণ করেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী,পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শাহাজাহান সিকদার, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর ছোট ভাই আলহাজ্ব এরশাদ মাহমুদ,পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু জাফর,পদুয়া ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামাল বদিসহ পরিবারবর্গ।
এসময় চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইদ্রিস আজগর,পৌরসভা আ'লীগের সভাপতি আরিফুর ইসলাম চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আ'লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব এমরুল করিম রাশেদ, রাঙ্গুনিয়া প্রেসক্লাব এর সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন রিয়াজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক ও ধর্মীয় মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আজাদ তালুকদারের মৃত্যুর সংবাদ শুনে রাঙ্গুনিয়াসহ চট্টগ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। আজাদ তালুকদারের মৃত্যুতে তাৎক্ষণিক গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ এবং তাঁর পরিবারের শোকাহত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
এছাড়াও চট্টগ্রাম ও রাঙ্গুনিয়ারসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ শোক প্রকাশ করেন।