১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নওয়াব সিরাজউদ্দৌলাহর প্রধান সেনাপতি মীর জাফর আলী খানের বিশ্বাসঘাতকতায় ইংরেজ বেনিয়াদের নিকট নওয়াবের পরাজয় ও শাহাদাতের মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষের মুসলিম শাসনের অবসান ঘটে। তখন থেকে প্রায় দু’শ বছর ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন-শোষণ বিরোধী বিভিন্ন ধর্মালম্বীসহ মুসলমানদের আন্দোলন-সংগ্রাম হতে থাকে। এতে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণকে নানভাবে দলন-পীড়ন ও গুম-হত্যার শিকার হতে হয়। এক পর্যায়ে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ১৪ আগস্ট নিখিল ভারত মুসলিম লীগের নেতৃত্বে দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পূর্ব ও পশ্চিম দু’অঞ্চলের সমন্বয়ে ‘পাকিস্তান’ রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়। ১৫ আগস্ট ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষ ‘ভারত’ রাষ্ট্র স্বাধীন হয়। পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর উর্দূকে একক রাষ্ট্রভাষা ঘোষণাকালে ‘বাংলা’কেও দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা দাবি তোলা হয়। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠি তা বিবেচনা না করে রাষ্ট্রীয় বাহিনী দ্বারা ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনকারীদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর ক্রমশ আন্দোলন-সংগ্রামের এক পর্যায়ে ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে ‘বাংলা’কে দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা দেওয়া হয়। তবুও পূর্বপাকিস্তানের অধিবাসীদের নানা বৈষম্য ও বিমাতাসূলভ আচরণে আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত থাকে। একপর্যায়ে ৬ দফা দাবীর ভিত্তিতে জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিরঙ্কুষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেও রাষ্ট্রক্ষমতার ভারসাম্যের দাবি উপেক্ষা করা হয়। এরপর তীব্র আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চ আওয়ামী লীগের অবিসংবাদিত নেতা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণপরবর্তী অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয় এবং স্বাধীনতার অভিপ্রায়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। তখন তিনি রাষ্ট্রীয় রোষানলে গ্রেফতার হয়ে কারাবন্দী হন। এরপর আন্দোলন সংগ্রামের তীব্রতার একপর্যায়ে এদেশের স্বাধীনতাকামী সিপাহী-জনতার পক্ষে ২৬ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চৌকস বাঙ্গালী সৈনিক মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার সশস্ত্র ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধ চলাকালীন ৯ মাসের মধ্যে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনা বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় মেজর জেনারেল নিয়াজীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে এদেশ পুনর্বার স্বাধীন হয়। সমতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়-বিচারেরভিত্তিতে এদেশ পুনরায় স্বাধীন হলেও জনগণ স্বাধীনতার সুফল থেকে নানাভাবে বঞ্চিত।
গণতান্ত্রিক সরকারের প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনায় ‘প্রশাসন’ জনসেবা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। তাই প্রজাতন্ত্রের সংবিধান অনুযায়ী, সরকার নাগরিকদের সকল প্রকার প্রশাসনিক অধিকার নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ এপ্রিল ‘সংস্থাপন মন্ত্রণালয়’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘জনপ্রশসান মন্ত্রণালয়’ করা হয়। জনগণের প্রশাসনিক সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি এই সংস্থার ওপরই নির্ভর করে। প্রজাতন্ত্রের গণকর্মচারী নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, পদায়ন ও পদোন্নতির ব্যবস্থা ইত্যাদি এ মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ। এ সকল কাজের সুচারুরূপে সম্পন্নের জন্য গণকর্মচারী নিয়োগ ও চাকরিবিধি প্রণয়ন এ মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। জনবান্ধব রাষ্ট্র গঠনে সরকার প্রশাসনিক সহায়তায় উচ্চ শিক্ষিত, মেধাসম্পন্ন, উন্নত ও প্রযুক্তিনির্ভর জনপ্রশাসন গড়ে তোলাতে সরকারে প্রতিশ্রুতি থাকলেও সরকার তা বাস্তবায়নে অনেকটা ব্যর্থ। স্বাধীনতাপরবর্তী সময় থেকে এদেশে গুণী ও মেধাবী কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রশাসনে সুশাসন নিশ্চিতকরণে গণদাবী ছিল। পতিত আওয়ামী সরকারের শাসনামলে গণমানুষের সেই দাবী চরমভাবে উপেক্ষিত হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন প্রশাসনে সুশিক্ষিত, মেধাবী ও নৈতিক মানসম্পন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না? প্রশাসনে মেধাশূন্যতার বিষয়টি কেন ক্রমান্বয়ে প্রকট হয়ে উঠছে? সংস্থাপন বা জনপ্রশাসন কার্যকলাপ পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রশাসনে মেধাহীনতায় কারণ হচ্ছে, বেশিরভাগ দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ, বদলী ও পদোন্নতিতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি। স্বাধীনতার পর তৎকালীন সরকার সর্বপ্রথম প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি নিয়োগে দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতার সূচনা করে। এরপর পরবর্তী প্রায় সকল সরকার নিজেদের রাজনীতি ও রাষ্ট্রক্ষমতা ধরে রাখতে কম বেশি প্রশাসনযন্ত্র ব্যবহার করেছে। তবে বিগত সাড়ে পনের বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশাসন দলীয়করণের প্রবণতা অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। তারা একদিকে দেশের উন্নত ও গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের পাশের হার বাড়িয়ে, নকল ও প্রশ্ন ফাঁসের ন্যায় গুরুতর অন্যায়কে ধামাচাপা দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, ভঙ্গুর ও একপেশে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থা। ফলে বিগত বছরগুলোতে দেশে নৈতিকতা বিবর্জিত মেধাহীন শ্রেণিই গড়ে উঠেছে। সচেতন শিক্ষিত সমাজ ও শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতা, অভিভাবক সকলই অন্ধকারময় এ শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন। যে শিক্ষায় জাতি শিক্ষিত হচ্ছে বলে বার বার সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, বাস্তবে তা কোনভাবেই উঁচু মানের শিক্ষাব্যবস্থা নয়। ফলে দেশি ও বিদেশি যেকোনো প্রতিযোগিতায় নতুন সিলেবাসের আওতায় শিক্ষার্থীরা কোথাও স্থান করে নিতে পারছে না। শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের এদেশের শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামী শিক্ষা ও নীতি-নৈতিকতার বিষয়টি চরমভাবে উপেক্ষা করা হয়।
শিক্ষকরাই জাতিকে উন্নত, মানসম্পন্ন, ভালো মানের শিক্ষা জাতিকে উপহার দিতে পারে। কিন্তু সেই উঁচু মানের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সেই নীতিবান শিক্ষক আজ কোথায়? দক্ষ শিক্ষক ও প্রশিক্ষণের অভাবে প্রশাসনের ন্যায় অন্যান্য ক্ষেত্রেও মেধাবী ও উন্নত চরিত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারি গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। প্রায়ই শোনা যায়, সরকারের প্রশাসনিক মূল চালিকাশক্তি জনপ্রশাসনের মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তা নির্বাচনে অধিকাংশ প্রার্থী অকৃতকার্য হয়ে থাকে। প্রমোশন দেয়ার মত যোগ্য কর্মকর্তার সংখ্যা খুবই কম। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুলাই এ বিষয়টি কিছু কিছু গণমাধ্যম ও জাতীয় দৈনিকে গুরুতর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। সে সময় জেলা প্রশাসকদের তিন দিন ব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনে প্রশাসনের কাজে প্রতিবন্ধক হিসাবে প্রায় দু’শ সমস্যার কথা উঠে আসে। বিষয়গুলো খুবই দুঃখজনক ও পরিতাপের। জানা গেছে, ইংরেজিসহ অন্যান্য বিদেশি ভাষায় পারদর্শিতা না থাকায় চিঠিপত্র লেখা বা প্রাপ্ত চিঠিপত্রের জওয়াব দিতে দফ্তরগুলোকে হিমশিম খেতে হয়। প্রায় প্রত্যেক ক্ষেত্রে মার্জিত ও মানসম্পন্ন ড্রাফট প্রস্তুতে যোগ্য কর্মকর্তার সংখ্যা খুবই সীমিত। এমন অভিযোগও রয়েছে, সচিবালয়ের কোন কোন দফ্তরে ইংরেজিপত্রের ড্রাফট তৈরিতে কনসালট্যান্ট নিয়োগ দিতে হয়। বিষয়টি স্পর্শকাতর ও উদ্বেগের। যেসব মন্ত্রণালয়কে বিভিন্ন দেশ ও বিদেশি সংস্থার সাথে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক চুক্তির বিষয়ে কাজ করতে হয়, তাদের ক্ষেত্রে এমন হলে তা দেশের স্বার্থহানির আশংকাকে বাড়িয়ে দেয়। রাষ্ট্রীয় স্বার্থের গোপনীয়তা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জনপ্রশাসনে মেধাশূন্যতার প্রত্যক্ষ কারণ হল, দলীয়ভিত্তিক নিয়োগ এবং ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে নিয়োগ, পদায়ন এবং পদোন্নতিতেও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কাজের মূল্যায়ন, অতীত অভিজ্ঞতা, জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন অভিমত ও মন্তব্যে জানা যায়, বর্ণিত কারণ ছাড়াও আরো বেশ কিছু কারণে জনপ্রশাসনে মেধাশূন্যতার দিকটি প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। যেমন অযোগ্যতা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত পছন্দ, স্বজনপ্রীতি ও তোষণনীতিতে পদ-পদবি প্রদান, রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রতিপক্ষতার কারণে দীর্ঘ মেয়াদে ওএসডি করে রাখা, গতানুগতিক প্রশিক্ষণের বদলে উন্নত ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ঘাটতি থাকা, পদায়নে জেষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বৃদ্ধি, অপছন্দের লোকদের জন্য অমর্যাদাকর বৈষম্য বঞ্চনা-সৃষ্টি, পদছাড়া পদোন্নতি, পদোন্নতি-পদায়নে সাংগঠনিক কাঠামো ‘পিরামিড’ আকৃতি অনুসরণ না করা, উপযুক্ত পদে যেতে ঘুষ বিনিময়, দুর্নীতি, সীমাহীন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে প্রশ্রয়ের কারণে কারো পক্ষে নিজেকে প্রশাসনিক সুশাসনে সম্পৃক্ত রাখতে না পারা, সুপিরিয়র-সিলেকশন বোর্ড বা এসএসবি’র অনিয়ম, কর্মকর্তাদের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন বা এসিআর, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন, দক্ষতা ও যোগ্যতার নীতিমালা না মানা, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ না হওয়া, ট্রেনিং ও গবেষণায় গিয়ে মেধাবী কর্মকর্তাদের ফিরে না আসা, পদোন্নতি দিয়ে পদায়ন না করা ইত্যাদিকে দায়ী করা হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্বীয় মেধা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে জনগণকে প্রশাসনিক সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ফলে জাতি বঞ্চিত হচ্ছে তাদের প্রাপ্য সেবা থেকে। দীর্ঘ মেয়াদে প্রশাসন হারাচ্ছে চেইন অব কমান্ড। মাঠপ্রশাসন কাজে দেখা দিচ্ছে অনাকাক্সিক্ষত সমন্বয়হীনতা ও জটিলতা। ফলে আমলা হয়েও নিজেদের সৃষ্ট আমলাতন্ত্রের বেড়াজাল আটকে পড়েছেন অনেকে। জনপ্রশাসনে মেধাশূন্যতার কারণসমূহ পর্যালোচনা করে যা পাওয়া যায়, তা নিঃসন্দেহে সুপ্রশাসন প্রতিষ্ঠার অন্তরায়। প্রশ্ন হচ্ছে, এর প্রতিকার কী? দেশের জনপ্রশাসনকে কীভাবে মেধাবী ও জনবান্ধব করে গড়ে তোলা যায়? এর উত্তরে প্রথমে আসে বিপিএসসির স্বাধীন ও স্বতন্ত্র সত্ত্বাকে আরো সুদৃঢ় করা, সত্যিকারভাবে পেশাদারি করা যায়? উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যুগোপযোগী প্রশাসন গড়ে তোলা, রাজনৈতিক ও দলীয় নিয়োগ বন্ধ করা ইত্যাদি। যদিও দেশে যে কোনো রাজনৈতিক সরকারের পক্ষে প্রশাসনকে সম্পূর্ণ দলীয়মুক্ত রাখা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহজতর নয়। তবে আওয়ামী লীগ বিগত সাড়ে পনের বছরে দেশের প্রশাসনযন্ত্রকে যেভাবে দলীয়করণ করেছে তা নজিরবিহীন। প্রতিপক্ষকে চরম স্বৈরাচারী কায়দায় ধমন করতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নানাভাবে বঞ্চিত করেছে। ফলে বৈষম্যবিরোধী সফল গণআন্দোলন পরবর্তী গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আগামীতে নির্বাচিত সরকার সাড়ে পনের বছরের বঞ্চিত ও নাজেহাল কর্মকর্তাদের তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে। এগুলো সবই ভোটবিহীন পতিত সরকার কর্তৃক প্রশাসনকে চরমভাবে দলীয়করণের বিপরীত প্রতিক্রিয়া। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন বা বিপিএসসি একটি সাংবিধানিক এবং স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। অথচ এর ওপর দলীয় সরকারের কর্তৃত্ব ছিল দৃশ্যমান। সেটা বন্ধ করে জওয়াবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি জনপ্রশাসনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে, যাতে তারা নিজের শিক্ষা, মেধা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতার আলোকে গুণগত পরিবর্তন এনে যুগোপযোগী করতে হবে। ছাত্রসমাজকে নৈতিকতায় উজ্জীবিত করে প্রকৃত দেশপ্রেমিক করে তুলতে হবে। তবেই জনগণ তাদের প্রাপ্য মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের সুফল ভোগ করতে পারবে বলে আশাবাদী।