মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন,প্রকাশনা সম্পাদক,আলোকিত রাঙ্গুনিয়া।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় আ'লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, '১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল সদস্য সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত করে এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডি ৩২-এর বাসভবনে স্ব-পরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখন ১৯৮১ সালে এই বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন তখন তিনি ধানমন্ডির ১৩২ নাম্বারে গিয়েছেন। সেদিন ঐ ৩২ নাম্বার বাড়িতে তৎকালীন শাসক জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু কন্যাকে তাঁর পিতা,মাতা ও ভাইয়ের জন্য কুরআন পড়ার সুযোগ দেয় নাই।
বৃহস্পতিবার (১০মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন মরিয়ম ইউনিয়ন আ'লীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্টিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আ'লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ এমপি বলেন,উপজেলা আ'লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলবো অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ত্যাগিদের মূল্যায়নের মাধ্যমে আগামীতে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করা হয়।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, মৃত্যুর পরে খুনিরা একজন মুসলমান হিসেবে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের প্রতি একটা মানুষের প্রতি মানুষের যে শ্রদ্ধাবোধ থাকে সেটাও তারা সঠিক ভাবে করেনি। আজকে তরুন ছাত্রলীগের ভাইয়েরা স্লোগান দিচ্ছেন রাঙ্গুনিয়ার মাটি ছাত্রলীগের ঘাটি, এই ত্যাগের ইতিহাস কষ্টের ইতিহাস,বেদনার ইতিহাস,আপনাদের জানতে হবে।
আ'লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে আহত হয়েছেন। এই বাংলার স্বায়ত্তশাসন ভাষা আন্দোলন সব কিছুর নেতৃত্ব দিয়েছেন আ'লীগ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আরো বলেন,'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর এই বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য, হারিয়ে যাওয়া শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য,হারিয়ে যাওয়া জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা কারার জন্য, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আ'লীগের নেতাকর্মীরা যে ত্যাগ শিকার করেছেন পৃথিবীর আর কোন রাজনৈতিক দল এরকম আত্নত্যাগ আর কোথাও শিকার করেনি।
সম্মেলনে মরিয়ম নগর ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি মুজিবুল হক হিরুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মো.শওকত হোসেন সেতুর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন,উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, উদ্বোধকের বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ'লীগের সহ সভাপতি আবদুল মুনাফ সিকদার।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার,চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আ'লীগের সহ- সভাপতি আবুল কাশেম চিশতী, পৌরসভা মেয়র আলহাজ্ব শাহাজাহান সিকদার,বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইউ,এ,ই কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুল, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ,ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম,উত্তরজেলা আ'লীগের সদস্য সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার,সদস্য আকতার হোসেন খান,উপজেলা আ'লীগের যুগ্ন- সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম চৌধুরী,জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব,দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের,সরফভাটা ইউনিয়ন পরিষদের শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী,উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু,উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম,তাঁতীলীগের আহবায়ক মোর্শেদ তালুকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল রাসু, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আলী শাহ প্রমুখ।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন,মরিয়ম নগর ইউনিয়ন আ'লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম,সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী,৷ দপ্তর সম্পাদক লিটন,যুবলীগের নেতা নুর হোসেন জয়, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি পারভেজ হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দীন,উপজেলা মহিলা আ'লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিলুফা ইয়াছমিন,মরিয়ম নগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সুমায়ুন কবির সুমন,সাধারণ সম্পাদক ইমাম উদ্দিন বাদশা, ছাত্রলীগের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক তানবির প্রমুখ।