মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা।
নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখছে টোকিও অলিম্পিক। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে অলিম্পিকের এবারের আসর। এতে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রীড়াবিদ। তাদের হাত ধরে যেকোনো সাফল্য আসুক, এমনটাই প্রত্যাশা দেশবাসীর। তবে ক্রীড়াবিদদের আগেই অলিম্পিক থেকে দেশের জন্য অনন্য এক সম্মান বয়ে আনলেন বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তাকে ‘অলিম্পিক লরেল’ সম্মাননায় ভূষিত করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)।
শুক্রবার জাপানে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। অনুষ্ঠানে ক্রীড়াবিদদের প্যারেড শুরুর আগেই ড. ইউনূসকে সম্মাননা দেয় আইওসি। তবে অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন না শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর ইউনূস। তাকে ভাচ্যুয়ালি সম্মাননা দেয়া করা হয়।
এর আগেই অবশ্য ইউনূস সেন্টারের ফেসবুক পেজ থেকে অনুষ্ঠানের সময় জানিয়ে একটি পোস্ট দেয়া হয়। সেখানে অলিম্পিক লরেলকে ক্রীড়া জগতের ‘সর্বোচ্চ পুরস্কার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
পরে ইউনূস সেন্টারের পাশাপাশি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে তার বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। এতে প্রফেসর ইউনূস বলেন, অলিম্পিক লরেল পেয়ে আমি সম্মানিত এবং অভিভূত। একইসঙ্গে আমি দুঃখিত যে, সশরীরে আপনাদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারিনি।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ক্রীড়ার সামাজিক প্রভাবকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে উল্লেখ করে ক্রীড়াবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারাই বিশ্ব পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে পারেন। এবং সৃষ্টি করতে পারেন তিনটি শূন্যের; এগুলো হচ্ছে- শূন্য কার্বন নির্গমন, সম্পদের শূন্য পুঞ্জিভূতকরণ এবং শূন্য বেকারত্ব।
ড. ইউনূস তার বার্তায় খেলাধুলার মাধ্যমে বিশ্বে শান্তিপ্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সফলতা কামনা করেন। সবশেষ এই প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা এবং অলিম্পিক লরেল সম্মাননা দেয়ায় সবাইকে ফের ধন্যবাদ জানান এ অর্থনীতিবিদ।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার খবর অনুসারে, যেসব ব্যক্তি ক্রীড়ার মাধ্যমে শিক্ষা, সংস্কৃতি, উন্নয়ন ও শান্তিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, তাদেরই এই সম্মাননা দেয়া হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস হচ্ছেন এই পুরস্কারপ্রাপ্ত দ্বিতীয় ব্যক্তি। তার আগে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক লরেল জিতেছিলেন কেনিয়ার সাবেক অলিম্পিয়ান কিপ কেইনো।
সূত্র-Asia Bani/Delowar