তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘'যারা ভোট বানচাল করতে চাই, যারা গাড়িতে-ট্রেনে আগুন লাগিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের সাধারণ মানুষ বর্জন করেছে। সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার মুখ তাদের আর নেই। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়ে ভোট বর্জনকারী আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে জনগণ।"
তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ায় বড় বড় সড়ক হয়েছে। যারা ভোট বর্জনের কথা বলে তারা আমাদের করা সড়কের গর্তও ভরাট করতে পারবে না। বর্তমানে প্রতি ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ ভাতা পাচ্ছে। ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা কে কোন দল করে তা কখনো দেখিনি। দল বিবেচনায় কাউকে কখনো ভাতা দেয়া হয়নি। তাই আগামী ৭ তারিখের ভোটেও আপনারা দলমত নির্বিশেষে নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন এই প্রত্যাশা করি।’
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তথ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া- বোয়ালখালী আংশিক) আসনে নৌকা মার্কার নির্বাচনী প্রচারণায় বিভিন্ন পথসভা ও গণসংযোগে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ড. হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়ার হাজারীহাট, মধ্য পারুয়া, কাটাখালী, উত্তর পারুয়া, রাজারহাট, ধামাইরহাট, উত্তর রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, আলমশাহ পাড়া, শান্তি নিকেতন ও মোগলের হাটসহ অন্তত ছয়টি ইউনিয়নে বিভিন্ন পথসভা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভোট প্রার্থনা করে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা আমাকে এমপি নির্বাচিত করেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী বানিয়েছেন এবং দলের উচ্চ পদে আসিন করেছেন। এরপরও আমি প্রতি সপ্তাহে চট্টগ্রাম এবং রাঙ্গুনিয়ায় আসি। আমার মতো অনেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররাও এলাকায় থাকেন না।
তিনি বলেন, গত ১৫টি বছর ধরে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাঙ্গুনিয়ার সব মানুষের জন্য আমার দুয়ার খোলা রেখেছি, দলমত নির্বিশেষে সবার খেদমত করেছি, সবার পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। কে ভোট দিয়েছে, কে ভোট দেইনি তা কখনো দেখিনি। এখন আমি আপনাদের দুয়ারে হাজির হয়েছি। আপনারা আমার জন্য আপনাদের দুয়ারটা খোলা রাখবেন। এ সময় তিনি আগামী ৭ জানুয়ারি তাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন তালুকদার, মো. শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, মুহাম্মদ আলী শাহ, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি লোকমান হোসেন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদার, প্রচার সম্পাদক এমরুল করিম রাশেদ, ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ ছৈয়দ তালুকদার, রফিকুল ইসলাম তালুকদার, দানু মিয়া, মো. নূর উল্লাহ, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। এসব জনসভায় স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ তথ্যমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান।
সূত্র- জগলুল হুদা