চট্টগ্রাম এর রাঙ্গুনিয়ায় অজ্ঞাতনামা এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার পুলিশ
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয়রা চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পোমরা ইউনিয়ন এর সেলিমা কাদের চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের গেট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার হয়।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তাঁর আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর। তাঁর পরনে একটি টি–শার্ট এবং নিচের অংশে ট্রাউজার প্যান্ট পড়া ছিল।
এ ছাড়া লাশের গলার দিকে গভীর কাটার ন্যায় ক্ষত চিহ্ন রয়েছে এবং এর রক্তের ছোপ পেট ও মুখেও ছড়িয়েছে। কেউ তাকে গলাকেটে খুন করে ওই স্থানে ফেলে রেখে গেছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করলেও অনেকে এটিকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন। তবে লাশটি আরও পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রাম শহরগামী একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক লাশটি রাঙ্গুনিয়ার সৈয়দা সেলিমা কাদের কলেজ গেটের সামনে থেকে কয়েকজন পথচারীদের অনুরোধে চুয়েট গেটে নিয়ে যান। স্থানীয়রা ধারণা করেন, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে কেউ গলাকেটে হত্যা করে সেলিম কাদের কলেজ এলাকার নির্জন স্থানে ফেলে গেছে। চুয়েট গেটের স্থানীয় লোকজন ওই লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির ও রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া থানায় নিয়ে আসেন।
এই ব্যাপারে লাশটিকে বহনকারী সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. নাছিরের সাথে কথা হয়। এই অটো চালকের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া। চট্টগ্রামের রাস্তারমাথা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি জানান, ভাড়া নিয়ে রাঙ্গুনিয়া থেকে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। গাড়িতে অন্য একজন যাত্রী ছিলো। যাওয়ার পথে সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় কয়েকজন পথচারী রক্তাক্ত ওই ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে তাকে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন। তারা লোকটি বেঁচে আছেন ভেবে চুয়েটের এম্বুল্যান্স পর্যন্ত দিতেই গাড়িতে উঠিয়ে দেন। চুয়েট গেটে গিয়ে বুঝতে পারেন লোকটি মারা গেছে। পরে স্থানীয়দের সাহায্যে পুলিশ খবর পেলে তারা এসে লাশটি উদ্ধার করেন বলে তিনি জানান।