রাঙ্গুনিয়ায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট,যুবসেনা ও ছাত্রসেনা রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আয়োজনে পবিত্র মাহে রবিউল আউয়ালকে স্বাগত জানিয়ে স্বাগত জশনে জুলুস শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান হতে জুলুম শুরু হয়ে মরিয়ম নগর চৌমুহনী,রোয়াজারহাট,ইছাখালী, গোডাউন, গোচরা চৌমুহনী,শান্তিরহাটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বাজার প্রদক্ষিণ শেষে পেমরা খাঁ মসজিদ প্রাঙ্গণে সমাবেশ,মিলাদ-ক্বিয়াম ও দোআর মাধ্যমে শেষ হয়।
উপজেলা ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি করিম উদ্দিন হাছান এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট,কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা তৈয়ব আলী, বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, আইন বিষয়ক সচিব এডভোকেট এম ইকবাল হাছান,অধ্যক্ষ মাওলানা জরিফ আলী আরমান,মাওলানা আ.ন. ম নজমুল হোসাইন নঈমী, অধ্যক্ষ আজিজুল হক আলকাদেরী।
র্যালী বাস্তবায়ন কমিটির সচিব মাওলানা সাইফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জুলুস ও সমাবেশে উপস্থিত ও বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মাওলানা করিম উদ্দীন নূরী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আকতার হোসেন,মাহমুদুর রশিদ মাসুদ,মাস্টার আবদুল কাদের, মুহাম্মদ ছানাউল্লাহ, সালাহ উদ্দীন নেজামী, কোরবান আলী নূরী,জামাল উদ্দিন, মীর হাবীবুল্লাহ, মোজাহেদুল ইসলাম, ইদ্রিস নঈমী,মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, আজিম উদ্দিন আহমেদ,এইচ এম শহীদুল্লাহ্, আরিফুর রহমান রাশেদ,এম এ শাকুর, শহীদুল ইসলাম খোকন, শাহে এমরান রনি, রবিউল মোস্তফা রাফি, জমির উদ্দীন, আবদুর রশিদ, ওবায়দুল হক প্রমুখ।
এসময় বক্তারা পবিত্র ঈদ এ মিলাদুন্নবী (দঃ) নিয়ে কোন প্রকার ষড়যন্ত্র হলে প্রতিহত করাসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে জুলুছ পালনের জোর দাবী জানানো হয়।
এসময় আরো বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমদের কৃষ্টি কালচার ও ইবাদতের অংশ। বিশ্ব মানবতার সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তির জন্য মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শুভাগমন। তাঁর জীবন ও কর্মকে অনুসরণ করে আরবের বর্বর জাতি নিজেদের কল্যাণ ও মুক্তি নিশ্চিত করেছিলেন। বর্তমানে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ ঘুনে ধরা মানবজাতি যদি তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সে হারানো সোনালী জীবন আবারো ফিরে আসবে তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
প্রসঙ্গত, দুপুর থেকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনার রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন এর নেতৃবৃন্দ মিছিল সহকারে চন্দ্রঘোনাস্থ জমায়েত হতে থাকে এবং র্যালীতে দুই শতাধিক মোটর সাইকেল শতাধিক সিএনজি ও পিকাপ যোগে প্রায় দুই হাজারের অধিক নেতাকর্মী ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশগ্রহণ করেন। সকলের মুখে দরুদ সালাম ও নারায়ে তাকবীর নারায়ে রিসালাতের স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে আশাপাশের এলাকা।