পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, আমাদের সংবিধানে কর্মকর্তা বলে কোনো শব্দ নেই। আইনগতভাবে আমরা সবাই কর্মচারী। আমরা একটু খুশি হওয়ার জন্য কর্মকর্তা বলি। তবে দেশের জনগণই আমাদের সবকিছু, আমাদের কর্তা। তাদেরকে সম্মান করতে হবে৷ তাদের সেবা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে এই দেশের জনগণ এই দেশের মালিক। তাই সরকারি কর্মচারীরা অযথা জনগণের সম্পদ নষ্ট করতে পারবেন না। তাদের প্রধান কাজই জনগণের সেবা করা।
শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে শহিদ তালেব ও কৃপেন্দ্র দাসের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শেখ হাসিনা গ্রামাঞ্চলের মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। তিনি গ্রামাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বন্ধু দেশ ভারতের চেয়েও এগিয়ে আমরা। বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে দিয়েছি, যা ভারত-পাকিস্তানেও নেই।
তিনি আরও বলেন, কাজের মাধ্যমেই দেশটাকে সুন্দরভাবে সাজাতে চাই। বীর সৈনিকরা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তাদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে৷ তাদেরকে মনে রাখতে হবে৷ স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতার আদর্শকে বুকে লালন করে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে৷
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামানের সভাপতিত্বে ও সমবায় কর্মকর্তা মাসুদ আহমদের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম, এসিল্যান্ড সকিনা আক্তার, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতু, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন, ওসি খালেদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আতাউর রহমান প্রমুখ।
পরে পরিকল্পনামন্ত্রী শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের ঈশাখপুর-শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার ১শ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন।
সূত্র- দৈনিক যুগান্তর