

চট্টগ্রামে একজন সফল বন কর্মকর্তা মোতালিব আল মোমিন। তিনি বিগত ১০ অক্টোবর ২০২৪ সালে বন রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বনকর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে দায়িত্ব পালন করছেন।
দায়িত্বের পর থেকে প্রতিদিন নিরলসভাবে অবৈধ পাহাড় জববদখল,গাছ পাঁচার রোধ,অবৈধ দখলসত্ব উচ্ছেদ অভিযান এবং জনগণের মাঝে গাছ রোপণ উৎসাহ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
এস.এফ.এন.টি.সি কমিউনিটি ফরেস্টের আওতাধীন ১৮০ জন ভূমিহীন মানুষের বিভিন্ন অনিয়ম বন্ধ করে নিয়মিত খাজনা আদায় এবং তাদের মাঝে বরাদ্দকৃত অনেক জায়গা ভূমিদস্যু হাত থেকে উদ্ধার করে সঠিক ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ করে দিয়েছেন, পোমরা ভূমিহীন কমিউনিটি ফরেস্ট প্রকল্প ২০১২ সাল থেকে গঠিত কমিটি বিভিন্ন অনিয়মসহ কমিটির কোন কার্যক্রম না থাকায় নতুন করে করার প্রদক্ষেপ গঠন করা হয়েছে, পোমরা বিট কার্যালয়ে আওতাধীন জঙ্গল পোমরা প্রায় ১২ হেক্টর জায়গা প্রভাবশালী ভূমিদস্যু হতে উদ্ধার করার সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যাহার দাগ নম্বর-RS ৫২,জমির পরিমাণ ৭.৪৫ একর পাহাড়,Rs ১৩৫ দাগের জমির পরিমাণ ১২.৮৩ একর পাহাড়

,RS ১৮৮ দাগের জমির পরিমাণ ১৩.৮০ একর পাহাড় এবং Rs ২১৪ দাগের জমির পরিমাণ ১২.৯৬ একর পাহাড়, পোমরা বিট কার্যালয়ে বিভিন্ন গাছ চোরদের দমন করার জন্য গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণ করিয়াছেন, পোমরা বিট স্টেশনে অবৈধভাবে পাচাঁরকৃত সেগুন গাছসহ চারটি ট্রাক জন্দ করে মামলার আওতায় এনেছে, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ গাছ চোরদের ধরে দুইজনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন, যাহা অন্য কোন সময়ে সম্ভব হয়নি,যোগদানর পর থেকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন বিভিন্ন স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে চারা বিতরণ করেন এবং গাছ রোপণের জন্য উৎসাহিত করেন, তিনি নিয়মিত অফিস-সহ কার্যক্রম পরিচালনাসহ স্টাফদের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা (ওসি) এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন।
এ সফলতার ব্যাপারে বন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে চায় নি শুধু মুচকি হেসে বললেন এটা আমার রুটিন ওয়ার্ক। তার মতো দেশের অন্যান্য বন কর্মকর্তা দেশের উন্নয়নের কাজ করলে বনায়নসহ অর্থনীতি সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।