গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার বারবার ভূলণ্ঠিত হচ্ছে অভিযোগ করে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন বলেছেন, আমরা চাই দেশে সুস্থ ধারার রাজনীতির বিকাশ হোক, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত হোক। এ জন্য চাই স্বচ্ছ ব্যালটবাক্সে ব্যালট পেপারে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। নতুন আইন পাস করে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী, কার্যকর ও স্বাধীন করতে হবে। অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক বা দলীয় সরকারের অধীনে কোনও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’
শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে গুলিস্তান আল বশির মিলনায়তন চত্বরে দলটির মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। মোমবাতি প্রতীক নিয়ে সকাল থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসতে থাকেন।
দেশের অধিকাংশ মানুষ সুফিবাদী উল্লেখ করে এম এ মতিন বলেন, ‘সুফিবাদীরা দেশে সবচেয়ে অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত। সুফিবাদী আলেম ও নেতাকর্মীদের হত্যাকাণ্ডের কোনও বিচার হয়নি। বায়তুল মোকাররম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ কোথাও সুফিবাদী জনতার প্রতিনিধিত্ব নেই। দেশের উপজেলা পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন ৫৬০টি মডেল মসজিদের অধিকাংশই আজ স্বাধীনতা বিরোধী উগ্রবাদীদের দখলে। সুফিবাদী জনতার প্রতি আর বৈষম্য বরদাশত করা হবে না।’
তিনি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে প্রেরিত অর্থে প্রণোদনা দেওয়াসহ অর্থপাচারকারী, দুর্নীতিবাজ, জঙ্গীবাদীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
এম এ মতিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে দলটির ১০ দফা দাবি সংবলিত ঘোষণাপত্র পাঠ করেন মহাসচিব অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন,আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান কাজী মঈনুদ্দীন আশরাফী,কো-চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস সোলাইমান আনসারী,মহাসচিব পীরে তরিকত সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা,সাংগঠনিক সচিব ড. ইছমাঈল নোমানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী হারুন,শাহাব উদ্দীন চৌধুরী, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ,সোলাইমান ফরিদ প্রমুখ।