

ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হেসেন বলেন, “একজন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন এবং নিজের সম্পদের হিসাব জনসম্মুখে উপস্থাপন করেছেন। আমরাও আমাদের সম্পদের হিসাবের তালিকা ক্যাবিনেট ডিভিশনে জমা দিয়েছি৷ এমনকি আমার তিন ছেলে তিন মেয়ে, আমার স্ত্রী তাদের কার কি আছে তা সরকারের ফর্মা অনুযায়ী দিয়েছি৷ আমরা আশাবাদী যতদিন ক্ষমতায় থাকবো, আমাদের সম্পত্তি বাড়বে না বরং কমবে।
বৃহষ্পতিবার (২৭ ফেব্রু্রযারি) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মডেল মসজিদ নির্মাণ অগ্রগতি পরিদর্শন ও পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নির্মাণাধীন মডেল মসজিদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজান হোসাইন। বক্তব্য দেন উপদেষ্টার একান্ত সচিব এবং যুগ্মসচিব ছাদেক আহমদ, চট্টগ্রাম গণপূর্ত ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হান, সাব ডিভিশন ইঞ্জিনিয়ার সৌরভ বিশ্বাস, এসও জসিম উদ্দিন, ঠিকাদার ফরিদুজ্জামান মিশু প্রমুখ।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন মডেল মসজিদ সম্পর্কে বলেন, ” দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করে। মসজিদ যতো বৃদ্ধি পাবে মুসল্লী বৃদ্ধি পাবে৷ আমরা যদি মানুষকে নামাজি বানাতে পারি তাহলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে। সমাজে চুরি ডাকাতি রাহাজানি, ছিনতাই, সন্ত্রাসী এসব এগুলো যুগ যুগ ধরে ছিলো, আছে। আমরা এটাকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে চাচ্ছি৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এটা নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালাচ্ছেন। ”
এর আড়ে ধর্ম উপদেষ্টা দুপুর দেড়টার দিকে মডেল মসজিদে নিজে ইমামতি করে জোহরের নামাজ আদায় করেন। এরপর মসজিদের কাজের অগ্রগতি এবং বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখে সন্তুোষ প্রকাশ করেন৷
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান জানান,উপজেলার ইছাখালী ও গোডাউন এলাকার মাঝামাঝি জায়গায় একদিকে কাপ্তাই সড়ক এবং অন্যদিকে কর্ণফুলী নদীর পাড়বেষ্টিত ৪৩ শতক জায়গার উপর তিন তলাবিশিষ্ট মডেল মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। ২০২০ সালের দিকে নির্মাণ কাজ শুরু হলেও করোনাসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় সম্প্রতি কাজটি শেষ হয়৷ বি ক্যাটাগরির এই মসজিদটি ১৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।