মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির প্রতিদিনের বাগাম্বড় জনগণ শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। খালি কলসি যেমন বাজে বেশি, বিএনপিও ঠিক সেরকম বেশি বাজে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বাজে, কদিন বিরতি দিয়ে এখন রিজভী সাহেব বাজে, গয়েশ্বর বাবু তালে বেতালে বাজে। এনিয়ে জনগণের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি বলছে, সর্বশক্তি নিয়োগ করে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। ২০১৮ সালের আগেও তারা ডান, বাম, অতিবাম সবাইকে নিয়ে ঐক্য করেছিলেন, সেই ঐক্যের শক্তি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। দেখা গেছে বিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করেন তাদের মধ্যে প্রচন্ড অনৈক্য।
তিনি আরো বলেন, এখনো তারা যে ঐক্যের কথা বলছেন, এই ঐক্য আগে যেমন করেছিলেন, হয়তো সেরকমই একটা কাগুজে ঐক্য করলেও করতে পারেন। আগে যেমন সেই শক্তি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে শুধু নয়, দেখা গেছে এই ঐক্যের মধ্যে যারা অংশ গ্রহণ করেছিলেন তাদের মধ্যে প্রচন্ড অনৈক্য। সেইজন্য আবার তাদের মাঝে ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ নামে আবার কিছু কিছু প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জহির আহমদ চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, মেয়র শাহজাহান সিকদার, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, মুহাম্মদ আলী শাহ, ইফতেখার হোসেন বাবুল, শফিকুল ইসলাম, আকতার হোসেন খাঁন, গিয়াস উদ্দিন খাঁন প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সমগ্র বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আজ শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কৃত করেছে। আর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছেন, ভিন্ন কথা। কারণ তারা আওয়ামী লীগের সাফল্য, শেখ হাসিনার সাফল্য দেখেও দেখেননা, চোখ থাকতে অন্ধ, কান থাকতেও বধির। তারা শোনেও শোনেননা, বুঝেও বুঝেননা, দেখেও দেখেননা, বিএনপির অবস্থা হচ্ছে সেরকম।
আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে তৃণমূলের সংগঠন। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাণ। সংগঠন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কারণেই আজকে আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায়। আমাদের সংগঠন দেশব্যাপী তৃণমূলে বিস্তৃত। ক্ষমতায় থাকার কারণে কোন কোন জায়গায় কোন কোন ক্ষেত্রে অনেকের মধ্যে আলস্য এসেছে। এই আলস্য ঝেড়ে ফেলতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন খুব বেশি দিন বাকি নেই। দুবছরের একটু বেশি সময় পরেই বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে আমরা যদি সাংগঠনিক পুরো শক্তি দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি তাহলে ২০১৮ সালের মতোই ধ্বস নামানো বিজয় ইনশাল্লাহ আমাদের হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আজকে সমগ্র পৃথিবীর সামনে একটা উদাহরণ। তাঁর নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। জাতিসংঘের মহাসচিব, তাঁর নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের সরকার প্রধানরা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন। তারা বিশেষ আমন্ত্রণ জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে জাতিসংঘে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কারণ তার নেতৃত্বে যেভাবে গত করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ যেভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তার নেতৃত্বে যেভাবে করোনাকে বাংলাদেশ মোকাবেলা করেছে, সেই সাফল্যগাঁথাটা বিশ্বনেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার মুখ থেকে শুনতে চাই। যাতে অন্য দেশ গুলো আমাদের এই সাফল্যের প্রেক্ষিতে তারা কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারে, অনুকরণ ও অনুসরণ করতে পারে।