শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টিও এনটিআরসিএর মাধ্যমে করার বিবেচনা করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসব কথা জানান। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ এখন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃর্পক্ষের (এনটিআরসিএ) অধীন কেন্দ্রীয় পরীক্ষার মাধ্যমে হয়। এর ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ প্রায় নেই। কিন্তু স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি এখনো পরিচালনা কমিটির হাতে রয়ে যাওয়ায় এসব পদে নিয়োগে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘুষ দিয়ে নিয়োগ পেতে হয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে সাড়ে ৩ লাখ থেকে শুরু করে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়মবহির্ভূতভাবে দিতে হয়। এ টাকা দিতে হয় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও পরিচালনা কমিটিকে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় এসব পদে নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ আছে। এ অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আজ এই তথ্য জানালেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, ‘আমরা এটি বিবেচনা করছি। কারণ, এই প্রশ্ন বারবার উত্থাপিত হচ্ছে। যখন এনটিআরসিএর সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বসব তখন বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।’
নিয়োগ পাওয়ার পর শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির কাজটিও সহজ করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা চলছে বলে জানান দীপু মনি। তিনি বলেন, বিকেন্দ্রীকরণ ভালো। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়রানি বেড়ে যেতে পারে।
এমপিওভুক্তিতেও এমন হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এ জন্য নিয়োগের সময়ই অনলাইনে সনদ যাচাই করে সরাসরি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর যাতে গ্রহণ করতে পারে, সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।