লা ফিনালিসিমায় গত সপ্তাহে ইতালির বিপক্ষে দারুণ খেলেও গোল পাননি লিওনেল মেসি। তবে এস্তোনিয়ার বিপক্ষে এবার আর আক্ষেপে পুড়তে হয়নি তাকে। ৩৪ বছর বয়সী এই মহাতারকা একাই করলেন পাঁচ গোল! তার চোখ ধাঁধানো নৈপুণ্যে সহজ প্রতিপক্ষকে বড় ব্যবধানে হারাল আর্জেন্টিনা।
রোববার রাতে স্পেনের নাভারেতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে এস্তোনিয়াকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। একপেশে লড়াইয়ের প্রথমার্ধে দুটি এবং দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিনটি গোল করেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি। জাতীয় দল আর্জেন্টিনার জার্সিতে তার গোলসংখ্যা বেড়ে হলো ৮৬।
ইতালির বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে আটটি পরিবর্তন আনেন স্কালোনি। কেবল মেসি, রদ্রিগো দে পল ও নাহুয়েল মলিনা জায়গা ধরে রাখেন। তবে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১০৬ ধাপ পিছিয়ে থাকা এস্তোনিয়াকে হারাতে কোনো বেগ পেতে হয়নি আলবিসেলেস্তেদের।
অষ্টম মিনিটেই কোপা আমেরিকার শিরোপাধারী আর্জেন্টিনা যায় এগিয়ে। ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন হারমান পেজ্জেয়া। রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। স্পট-কিক থেকে বাম পায়ের শটে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক মাটভেই ইগোনেনকে পরাস্ত করেন মেসি।
১৫তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আলেক্সিস মাক-আলিস্তারের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দশ মিনিট পর মলিনার পাসে হুলিয়ান আলভারেজের প্রচেষ্টা ঠেকান ইগোনেন। ৩৮তম মিনিটে দে পলের পাসে মেসির শট অল্পের জন্য জালে ঢোকেনি।
৪৪তম মিনিটে মেসির ক্রসে মার্কোস আকুনিয়ার হেড নিশানায় পৌঁছায়নি। তবে পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। আলেহান্দ্রো গোমেজের রক্ষণচেরা পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সের ডানদিক থেকে কোণাকুণি শটে জাল কাঁপান তিনি।
বিরতি শেষে ফের খেলা শুরু হওয়ার পরপরই হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়ে যান মেসি। ডি-বক্সের ভেতরে সঙ্গে থাকা ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে মলিনার ক্রসে আলতো টোকায় বল জালে পাঠান তিনি। আর্জেন্টিনার জার্সিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটি তার অষ্টম হ্যাটট্রিক।
পাঁচ মিনিট পর আলভারেজের দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট রুখে দেন ইগোনেন। পরের মিনিটে মেসির পাসে দে পলের ডান পায়ের কোণাকুণি শট চলে যা পোস্ট ঘেঁষে। ছয় মিনিট পর গোমেজের কাছ থেকে বল পেয়ে আলভারেজের গড়ানো শট তেমন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি গোলরক্ষককে।
৭১তম মিনিটে মাঝমাঠে গোমেজ ফাউলের শিকার হলে এস্তোনিয়ার ফুটবলাররা দাঁড়িয়ে পড়েন। কিন্তু রেফারির বাঁশি না বাজিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের সুযোগে অরক্ষিত মেসি ডি-বক্সে ঢুকে এক ডিফেন্ডার ও ইগোনেনকে কাটিয়ে ম্যাচে চতুর্থবার লক্ষ্যভেদ করেন।
পাঁচ মিনিট পর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নিকোলাস গঞ্জালেজ, আলভারেজ ও পাওলো দিবালার শট প্রতিহত হয় প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে। কিন্তু বল পুরোপুরি বিপদমুক্ত হয়নি। এরপর বাকি কাজটা অনায়াসে সেরে পঞ্চম গোল আদায় করে আর্জেন্টিনাকে উল্লাসে মাতোয়ারা করেন মেসি।