মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বেতাগী ইউনিয়নের মধ্যেম বেতাগী এলাকার বেতাগী আস্তানা শরীফের দক্ষিণ পাশে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন গোলাম বেপারিহাট হতে কাটাখালী হযরত হাফেজ বজলুর রহমান (রহ.) বাড়ীর পর্যন্ত প্রায় ১০০০ মিটার জায়গা ও জমিন আজ নদীর ভাঙ্গণে বিলীন হয়ে যাচ্ছে । গ্রামবাসীর পক্ষে প্রশাসন,সরকার ও রাঙ্গুনিয়ার সাংসদ ড. হাসান মাহমুদ এমপির কাছে দ্রুত ব্লক বসানোর দাবী ও আহবান জানান,বেতাগী আস্তানা শরীফের সাজ্জাদানাসীন পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ।
সোমবার (৯আগষ্ট) বিকালে তিনি ভাঙণেরস্থান পরিদর্শন করেন এবং এ সময় তিনি দাবী জানান । তিনি বলেন, গোলাম বেপারিহাট একটি প্রাচীন বাজার,যা কর্ণফুলী নদীর পাড়ে অবস্থিত, নদীর একপাশে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বেতাগী ইউনিয়ন অন্যপাশে বোয়ালখালী উপজেলা, তবে কিছু অংশ রাঙ্গুনিয়ায় পড়েছে! বোয়ালখালীর ঐ অংশে ব্লক বসানোর হলেও বেতাগীর এ পাশে ব্লক বসানোর হয়নি। যার কারণে গোলাম বেপারিহাট হতে কাটাখালী হযরত হাফেজ বজলুর রহমান (রহ.) বাড়ীর পর্যন্ত প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত জায়গা আজ নদীর ভাঙ্গণে বিলীন হয়ে গেছে এবং দ্রুত ব্লক বসানোর না হলে এ বর্ষার মৌসুমে আরো ঘরবাড়ি ও ফসলী জমিন ভাঙণে বিলীন হয়ে যাবে বলেও দাবী করেন তিঁনি।
স্থানীয় আ’লীগের নেতা জসিম উদ্দিন জানান, প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা ও আ’লীগের অনেক নেতৃবৃন্দ ভাঙণের স্থান পরিদর্শন করলেও! এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি আমি আমাদের স্থানীয় মন্ত্রী ও মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে অতিদ্রুত ব্লক বসানোর দাবী আবেদন জানান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোলাম বেপারিহাটের
অনেক আংশ আজ বিলীন হয়ে গেছে,এমনকি গোলাম বেপারিহাট জামে মসজিদ প্রায় বিলীন হয়ে গেছে এবং এর আশেপাশে অনেক ফসলি জমিন ভাঙণে বিলীন হয়ে গেছে।অতি দ্রুত ব্লক বসানো না হলে বর্ষার মৌসুমে আরো ভাঙাণ হবে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।