চট্টগ্রামের রাউজানে বিয়ের ১৯ দিনের মাথায় জাহেদা আফরিন (২৮) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের কমলার দিঘী এলাকার গণির বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জাহেদা আফরিনের স্বজনদের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা জানান, বাসর রাতে জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করতে গিয়ে আফরিনের যৌনাঙ্গে তিনটি সেলাই করতে হয়। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।
অন্যদিকে, শ্বশুর পক্ষের লোকজন জানিয়েছেন আফরিন ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
জানা যায়, গত ১৯ দিন আগে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের সাপলেজা পাড়ার মো. ইউসুফ এর মেয়ে জাহেদা আফরিনের সাথে রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের আবু তাহেরের ছেলে মো. ইসমাইলের বিয়ে হয়।
নিহতের ভাই মো. ইব্রাহিম বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা। বিয়ের ১৯ দিনের মধ্যে একবারও আমার বোনকে বাড়িতে নিয়ে যেতে দেয়নি। আমার বোনের জামাই নেশাগ্রস্ত ছিল। বোনকে মেরে ফেলা হয়েছে।
আফরিনের মামাতো ভাই ফরিদুল আলম সোহেল বলেন, বাসর রাতে তিনটি সেলাই হয়েছিল। জোরপূর্বক বাসর করেছিল। পরিকল্পিত হত্যাকান্ড উল্লেখ করে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করেন তিনি।
এদিকে আফরিনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, নাস্তা করে শয়নকক্ষে গিয়ে দরজা আটকিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তারা তিনজন মিলে দরজা ভেঙে উপর থেকে লাশ নিচে নামিয়েছেন।
এদিকে আফরিনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, নাস্তা করে শয়নকক্ষে গিয়ে দরজা আটকিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তারা তিনজন মিলে দরজা ভেঙে উপর থেকে লাশ নিচে নামিয়েছেন।
নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জয়নাল আবেদীন জানান, সকাল ৯ টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দরজা খোলা অবস্থায় গৃহবধূর লাশ খাটে পড়ে থাকতে দেখি। পরে লাশটি আমার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।